“Education is the backbone of nation.” শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। আমরা জানি, যে জাতি যতবেশী শিক্ষিত সে জাতি ততবেশী উন্নত । তাই শিক্ষাকে জীবনের ব্রত ও অনুস্মরনীয় প্রক্রিয়া হিসেবে দেখতে হবে এবং এ থেকে অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি ঘটাতে হবে।
বর্তমান সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের যোগোপযোগি ও বিজ্ঞান মনষ্ক করে গড়ে তোলতে হবে।স্কুলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হতে হবে সুপরিকল্পিত পাঠ্যক্রম, সহ-পাঠ্যক্রম কর্মসূচীর যথাযথ বাস্তবায়ণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিক গুনাবলীর সবোর্চ্চ উৎকর্ষ সাধনের মধ্য দিয়ে তাদের সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিদ্যালয়ে দক্ষ, প্রশিক্ষিত শিক্ষক কর্তৃক বিজ্ঞান ভিত্তিক পাঠ দানের মাধ্যমে ছাত্র/ছাত্রীদের সু-প্রতিষ্টিত করে একবিংশ শতাব্দীর ঢেলেঞ্জ মোকাবেলার যোগ্যকরে গড়ে তোলা। তবেই আমরা প্রতিষ্টানের অংশীজনেরা সফল ও স্বার্থক।
শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। কাজেই সবার জন্য শিক্ষা অর্জন করা মানুষের মৌলিক অধিকার। এই অধিকারকে যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বের অনেক দেশ তাজ সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করেছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যুগের সাথে
সংগতিপূর্ণ বিকাশের জন্য ভামরা প্রত্যেকেই ভাবি নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষাই হলো আমাদের মূলমপত্র । আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি শিক্ষার মৌলিক উদ্দেশ্য হলো”আচরনের কাঙ্খিত পরিবর্তন”। তার এ লক্ষ্য সাধনে তাদেরকে সৃজনশীল, স্বাধীন, স্বক্রিয় এবং দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে ঢ়েতুলা। এ জন্য প্রয়োজন দক্ষ শিক্ষক মন্ডলী এবং উপযুক্ত শিক্ষাদান পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি শিক্ষাবান্তর পরিবেশ। আমার বিশ্বাস হাজী মুকসুদ আলী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসব কিছুর সমন্বয় ঘটানো সম্ভব
হয়েছে। আর বর্তমান শিক্ষাক্রমে এর বাস্তবায়ন সহজতর হয়েছে। আমি উক্ত বিদ্যাপিঠের উত্তরোত্তর সফলতায় দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।
একবিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বনামধন্য জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলাধীন হাওর জনপন পাকশিমূল ইউনিয়নের অন্তর্গত সাবেক ৩নং ওয়ার্ডের তিতাস-মেঘনা বিধৌত প্রত্যন্ত অঞ্চল প্রমানন্দপুর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী “হাজী মুকসুদ আলী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়” ২০০১ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত হয়। সাবেক তনং ওয়ার্ডের পাঁচ গ্রাম তথা পরমানন্দপুর, ফতেহপুর, বড়ইচারা, ষাইটবাড়িয়া, হরিপুরে এটিই মাধ্যমিক পর্যায়ের একমাত্র বিদ্যাপিঠ হওয়াই প্রতিষ্ঠানটি দিনে দিনে সমৃদ্ধি লাভ করছে।
তৎকালীন সরকারের সাবেক ভূমি প্রতিমপত্রী উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়া উল্লেখিত পাঁচ গ্রামের শিক্ষানুরাগী ও সুশীল সমাজের সার্বিক সহযোগিতায় উনার বাবা “হাজী মুকসুদ আলী ভূঁইয়ার নামানুসারে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন।
হাজী মুকসুদ আলী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামগণোলয়ের অধীনে বেসরকারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এমপিও ভুক্ত ৬ শিক্ষামন্ত্রনালয়ের সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণভাবে রাজনীতি মুক্ত। বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টমশ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এবং নবম ও দশম শ্রেণির শাখা খোলা প্রক্রিয়াধীন আছে।